রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ ঘূর্ণিঝড় ফণি ও আমফানের প্রকপে বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালি নদীর একাংশ। মঠবাড়ী ইউনিয়নের বাদুরতলা বাজার থেকে শুরু করে চল্লিশ কাহনিয়া পযর্ন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধটি অনেক অংশই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিনই এই বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রায় দুই থেকে আড়ই হাজার মানুষের চলাচল করে।দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত ভাঙ্গন এবং ফণি ও আমফানের প্রকপে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই বেড়িবাঁধটির অনেক অংশই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে অব্যাহত রয়েছে বেড়িবাঁধটির ভাঙন।এছাড়া বিভিন্ন সময় বিষখালি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বাদুরতলা বাজারের অর্ধশত দোকান, বসতঘর ও গাছপালা সহ কয়েক’শ একর জমি। ফলে ভিটা মাটি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেকেই।
এই বেড়িবাঁধ দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বয়স্ক ব্যাক্তি ও শিশু শিক্ষার্থীরা।এতে জোয়ারের সময় পানি বৃদ্ধি পেলে পথচারিদের সম্মুক্ষীন হচ্ছে বিভিন্ন অভিঙ্গতার মধ্যে দিয়ে যাতে ঘটতে পারে ভয়ানক দূর্ঘটনা। এ সময় পথচারী এক বৃদ্ধা বলেন,মোরা এহন কেমনে বাড়ী যামু ,রাস্তা ঘাট কিচ্ছু নাই কোলায় কাদার মধ্যে নাইম্মা পানি কাদা লাগাইয়া হেইয়ার পর বাড়ী যাইতে হয় পেন্দোনের সব কাফুর চুফুর ভিজ্জা জায়।এই রাস্তাটা ভালো রহম কইরা দেতে হইবে এইডা মোগো দাবী। বেড়িবাধেঁর এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবী জানায় এলাকার একাধিক পথচারি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:সোহাগ হাওলাদার জানান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সংসদ সদস্য মহাদ্বয়ের কাছে বিষয়টি উত্থ্যাপন করা হয়েছে। তিনি অতি দ্রুত কেবিনেট মিটিংএ উপস্থাপন করলে কাজটি করা সম্ভব হবে। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান,আমি উপজেলা নির্বাহি অফিসার,উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সেটা নতুন বাজেটে তুলে ধরবো।আশাকরি খুব দ্রুতই নদীভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করা হবে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধ করে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মান করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করার দাবী এলাকা বাসীর।
Leave a Reply